Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

নেহালপুর ইউনিয়নের ইতিহাস

 

ইতিহাস ও ঐতিহ্য

 

 জমিদার প্রথা

   এ্যাডঃ সুরেন্দ্র নাথ হালদার তখনকার সময়ের বা অবিভক্ত ভারতের কংগ্রেস এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সুরেন্দ্র নাথ হালদার  গ্রেটার যশোর পৌরসভার  তিন তিন বার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং আঃ লতিফ সরদার জেরা পরিসদের মেম্বর ছিলেন তিনি একই সাথে ঋণ সালিশী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমান নেহালপুর কালিবাড়ী বাজারের উত্তরে জমিদার হালদার পরিবারের বসবাস ছিল। জমিদার উপেন্দ্র নাথ হালদার, ও লালবিহারী হালদার,ছেলে-১। এ্যাডঃ সুরেন্দ্র নাথ হালদার ২। এ্যাডঃ বিজয় কৃষ্ণহালদার ৩। চারু হালদার এবং ৪।জিতেন্দ্র নাথ হালদার তখনকার সময়ে জমিদারী প্রথা চালূ করে রেখে ছিলেন।  ১৯৬৩-৬৪ সালে এ্যাডঃ সুরেন্দ্র নাথ হালদার এ্যাডঃ বিজয় কৃষ্ণহালদার যশোরে এসে বসত স্থাপন করেন। তখনকার সময়ে  এ্যাডঃ সুরেন্দ্র নাথ হালদার  ও এ্যাডঃ বিজয় কৃষ্ণহালদার উনারা  ২ ভাই যশোরের নামকরা প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। আজও তাদের উত্তরসূরী ভারতের কলকাতাতে নিজ জমিতে দূর্গা মন্দির স্থাপন করে ও যশোরের বর্তমান ওর্য়াকাস পার্টির জেলা কাযর্লয়ই তাদের উত্তরসূরীদের বসবাস এর তথ্য পাওয়া যায় । নেহালপুর ইউনিয়নে তাদের উত্তর সূরী হিসাবে আছে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী গৌর হালদার,গোবিন্দ হালদার ও প্রভাষক অশোক হালাদর। সেখানকার স্বৃতি হিসাবে আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে সেই পুরনো আমলের বান্ধাঘাট পুকুর।  ছবিটি উপরে তুলে ধরা হল। তথ্য সংগ্রহে--এ্যাডঃ মনোরঞ্জন সাং-নেহালপুর,মোবাইল-০১৭১২০৭৩৫৯৭

 

ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪০ সালে প্রথম যশোর মহকুমার অধীনে বর্তমান নেহালপুর ও বর্তমান মনোহরপুর এই ২টি ইউনিয়নের স্বমন্নয়ে  নেহালপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৪২ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে পর্যায়ত্ক্রমে মোঃ আব্দুল আজিজ,বাবু  প্রহল্লাদ চন্দ্র বিশ্বাস (হিটলার), এ্যাডঃকামরুজ্জামান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন প্রশাসক নেহালপুর ইউনিয়ন থেকে মনোহরপুর ইউনিয়নকে পৃথক করে বর্তমান নেহালপুর ও বর্তমান মনোহরপুর এই ২টি ইউনিয়নের নামে আলাদা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। বর্তমানে ০৩ টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ।

নেহালপুর ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে, পুর্বে বর্তমান নেহালপুর ও বর্তমান মনোহরপুর ইউনিয়ন এর অধিকাংশ গ্রামেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। বর্তমান গাজীপাড়া সংলগ্ন নেহালউদ্দিন নামে নেহালপুর গ্রামের ধনাঢ্য এক ব্যক্তির বসবাস ছিল। নেহালউদ্দিন সেই আমলের ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম  প্রথম নেহালপুর ইউনিয়ন নামের প্রস্তাবকারী ছিলেন। সেই থেকে নেহালউদ্দিন এর নামেই নেহালপুর গ্রামের নাম করণ করা হয়।

 

তথ্যসূত্র: ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান সাং নেহালপুর  এর বিবৃতি।

 

সর্বজন স্বীকৃত এতদা অঞ্চলের মাড়োয়ারদের সবচেয়ে বড় ও পুরানো ব্যবসার স্থান-

 

বৃটিশশাসন আমলে ও অবিভক্ত ভারত বর্ষে  লঞ্চ ও মালবাহী নৌকা নিয়ে মাড়োয়াররা আসত সেই আমলের বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেকার ঘাট মোকামে। দক্ষিণ অঞ্চলেরও বড় বড় ব্যবসায়ীরা এই স্থানে ব্যবসার জন্য আসত। ঐ সময়ের ব্যবসায়ী ছিল গোপাল চন্দ্র পন্ডিত সাং-পাঁচাকড়ি,উনার ছেলে বাবু  প্রহল্লাদ চন্দ্র বিশ্বাস ছিলেন পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এছাড়া মনমত ঠাকুর সাং-পাঁচাকড়ি তার বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল সেখানে। তখনকার  উল্লেখযোগ্য ব্যবসা ছিল পাটের আড়ৎ গুড়ের আড়ৎ ইত্যাদি। তথ্য সংগ্রহে--এ্যাডঃ মনোরঞ্জন সাং-নেহালপুর,মোবাইল-০১৭১২০৭৩৫৯৭

 

জয়েন্ট পাকিস্তান আমলের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ভবদাহ স্লুইস গেট

 

১৯৬২-৬৩ সালে জয়েন্ট পাকিস্তান আমলের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ভবদাহ স্লুইস গেট। সেখানে সি প্লেনে করে বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ আসত তদারকির জন্য। যে গেট দিয়ে ২৭ টি বিলের পানি নেহালপুর ইউনিয়নের পাশ ঘেষে টেকা মূক্তেশ্বরী নদী বেযে সাগরে গিয়ে পড়ত। সেই স্লুইচ গেট আজ মৃত প্রায় । সেখানে ২১ গেট,৯ গেট ৬ গেট,৪ গেট ৩ গেট ১ টি করে গেট করে রেখে কালের স্বাক্ষী করে ছিলেন। তখনকার ইঞ্জিনিয়ার বলেছিলেন এই গেট ২০/৩০ বছরেই এর কুফল দেখা দিবে আসলেই আজ আমরা এর কুফল পেতে শুরু করেছি।

ভবদহের  উজানের ২৭টি বিলের ক্রমিক সংখ্যা তুলে ধরা হল

 

বিলের নাম

বিলের নাম

বিলের নাম

দামোখালির বিল

সন্ধ্যার বিল

রাজাপুরের বিল

আড়পাতার বিল

বিল বোকড়

ডুমোর বিল

কপালিয়ার বিল

কালিধার বিল

ধলের গাতী বিল

কেদারিয়ার বিল

হরিণ ঘাটার বিল/হরিণ কাটার বিল

ফেহেলির বিল রাজাপুরের উত্তরে

বলার আবাদের বিল

সাত গাতীর বিল

মাগুরার বিল

আন্ধার বিল

শাহালের বিল বাহাদুর পুরের দক্ষিণে

শা- মান্দার তলার বিল

কাছোর আবাদ বিল

সুন্দলীর খোল বিল

ভাতার মারীর বিল জয়পুরের পশ্চিমে

গান্ধি মারার বিল

শুড়ীর ডাঙ্গীর বিল

হরিণার বিল খোরচে ডাঙ্গা ও বলা ডাঙ্গার বিল

ভুলার আবাদ বিল

ঝিহিরের বিল ঝিকরের বিল

ভাতুড়িয়ার বিল

 

এর পরেও নাম না জানা আরও ২৬টি বিলের জল যশোরের পুলের হাট হয়ে ভবদহ গেট দিয়ে বাহির হয়।

তথ্য সংগ্রহে--এ্যাডঃ মনোরঞ্জন সাং-নেহালপুর,মোবাইল-০১৭১২০৭৩৫৯৭

 

দাতব্য চকিৎসালয় (Chairitable Dispensary)

   বৃটিশআমলে ১৯৩৫ সালে ৫২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত ছিল ওবং আছে। দাতব্য চিকিৎসালয় এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মরহুম আঃ লতিফ সরদার,বিজয় কৃষ্ণহালদার,আখেজ উদ্দিন বিশ্বাস ও উপেন্দ্রনাথ হালদার। খরিদ সূত্রে জমি দত্তা ছিলেন জনাব আলী গাজী আম্রঝুটা।  ডাঃ হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু ও কম্পাউন্ডার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন উপেন্দ্রনাথ সিংহ(আম্রঝুটা)। তখনকার কার্যক্রম ছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন।মরহুম আঃ জলিল সরদার বি,এ, পিতা-মরহুম আশরাফ আলী সরদার,গ্রাম-বালিধা,ডাকঘর-পাঁচাকড়ি, উনি উক্ত চিকিৎসালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।উল্লেখ্য আঃ জলিল সরদার ১৯৫৪ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন এবং তিনি যশোর জেলা জজ কোর্টের জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর জুরি বোর্ডের বিলুপ্তি ঘটে।এরপর কয়েক বছর ধরে নেহালপুর উপস্থাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ উক্ত বিল্ডিং এ হয়ে আসছিল কিন্তু বর্তমানে সেই দাতব্য চিকিৎসালয় পতিত অবস্থায় রয়েছে। দাতব্য চিকিৎসালয়টি যদি কার্যক্রম অব্যাহত থাকত তাহলে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ অবশ্যই উপকৃত হত।বর্তমানে ৫টি ইউনিয়নের কেন্দ্র বিন্দু হল নেহালপুর ইউনিয়ন। তাই এই ইউনিয়নে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য চিকিৎসালয়টি বর্তমান সংস্কার পূর্বক ২৫ শয্যা বিশিষ্ট চিকিৎসালয় হিসাবে চালু হলে নেহালপুর ইউনিয়ন,কুলটিয়া ইউনিয়ন,দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন,মনোহরপুর ইউনিয়ন ও খানপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ চিকিৎসা সেবা পেত।

একনজরে ইউনিয়ন পরিচিতি ও ইউয়িনের নামকরণঃ

   শ্রী নদীর পূর্ব কূল ঘেষে মূক্তেশরী নদীর পশ্চিম কূল ঘেষে বিল কেদারিয়া ও আড়পাতা বিলের মধ্যবর্তী স্থানে ১০০% স্যানিটেশন মুক্ত ৯০% শিক্ষিত জনগোষ্টি নিয়ে নেহালপুর ইউনিয়নের অবস্থান।

    আনুমানিক ২০০/৩০০ বছর পূর্বে বর্তমান গাজী পাড়া আকবর মৌলভীর বাড়ী সংলগ্ন ১ গম্বুজ বিশিষ্ট ১ টি মসজিদ ছিল। সেই মসজিদের নাম ছিল হারান শেখের মসজিদ। সেই মসজিদের পাশেই নেহালউদ্দিন নামে একজন প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যক্তি বসবাস করতেন। সেই প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যক্তির নামেই নেহালপুর এর নামকরন করা হয়।তথ্য সংগ্রহে-ডাঃমোঃ মতিয়ার রহমান,সাং-নেহালপুর,জন্মতাং-০৩/০৪/১৯১০ইং।বয়স-১০১(একশত এক)বছর ৬ মাস।

 ইউনিয়ন পরিষদ ভবন

    দেশ স্বাধীনের পর ইউনিয়নের ১ম চেয়ারম্যান জনাব এম,এ আজিজ সাহেব,সাং-বালিধা,উনি পাঁচাকড়ি  গ্রামের মহিষকুড় নামকস্থানে ১ম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।আংশিক কাজ হওয়ার পর ১৯৮২ সালে মৃত রমজান আলী মো্ল্যা, ওয়াজেদ আলী মোল্যা,মৃত কালিদাস রায়,মছিউদ্দিন আটা, আঃ হামিদ আটা শ্রী ভোলানাথ কর্মকার, মৃত আহম্মাদ আলী মোল্যা,মৃত মেহের আলী দফাদার প্রমুখ। মছিউদ্দিন আটা ও আঃ হামিদ আটার নিকট হতে বিনা মূল্যে ডি,সি এর নামে কবলা করিয়া তৎকালিন এ,ডি,সি জনাব আজহারুল হক সাহেব এবং মনিরামপুরের ১ম থানা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃমিজানুর রহমান সাহেব, নেহালপুর বাজার সংলগ্ন ও শ্রী নদীর পূর্ব কূল এ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উদ্বোধন করেন।

ঋণ সালিশী বোর্ড

    ১৯৩৫ সালে বালিধা গ্রামের বকুলতলা নামক জায়গাতে ঋণ সালিশী বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।ঋণ সালিশী বোর্ডের ১ম প্রেসিডেন্ট ছিলেন মরহুম আঃ লতিফ সরদার,পিতা-আলহাজ্ব হাছিম সরদার,মাতা-আলহাজ্ব পীরজান বেওয়া সাং-বালিধা।২য় প্রেসিডেন্ট ছিলেন মনমোহন মূখার্জী, সাং-পাঁচাকড়ি,। জমির মালিকগনদের ঋণ মুক্ত করাই ছিল ঋণ সালিশী বোর্ডের কাজ ছিল।

 

      

   নীলকুঠি

শ্রীনদীর পূর্ব কূল ঘেষে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পশ্চিমে নীল কুঠির অবস্থান ছিল।

 

শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম

   ১৯৬৩ সালে অমূল্য রতন গোস্সামী, গনেশ মল্লিক এবং কার্তিক মন্ডল,সাং-পাঁচাকড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন।বর্তমান পূজারী-অনন্ত কুমার গোসাই। উদ্যেশ্য হলো  হিন্দু ধর্মীয় উপাসনালয় ।১

 

বিঃদ্রঃ আমাদের তথ্য ত্রুটি মুক্ত নয়,এবাদেও যদি আপনাদের কোন সঠিক তথ্য জানা থাকে তাহলে নেহালপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে এসে আমাদেরকে তথ্য প্রদানে সহযোগিতা দিবেন।

তথ্য সংগ্রহেঃ  নেহালপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র,মনিরামপুর,যশোর।

মোঃআসাদুলহকচঞ্চল,

পরিচালক/উদ্যোক্তা

১৬নংনেহালপুরইউনিয়ন,

মনিরামপুর,যশোর।

মোবাইল-০১৭২৫৩৩৯১০১

e-mail - upnehalpur@gmail.com,

skype - asadul.uisc96